শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৯ অপরাহ্ন
নবীগঞ্জ থেকে তৌহিদ চৌধুরী, কালের খবর : নবীগঞ্জে এবার ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহমেদ মুসার বিরুদ্ধে ভি.জি.ডি’র চাল ও মহিলাদের মাসিক সঞ্চয়ের টাকা আত্মসাতের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার (১৯ এপ্রিল) মোঃ শরিয়ত আলী নামে এক ব্যাক্তি নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিভাবে এ অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় ওই এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী আহমেদ মুসা তার নির্বাচনী এলাকার হতদরিদ্র ১৭৫ পরিবারের মহিলাদের মধ্যে মার্চ মাসে ভি.জি.ডি’র চাল বিতরন ও মহিলাদের জমাকৃত মাসিক সঞ্চয়ের টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার কথা ছিল। এদিকে মার্চ মাস পেরিয়ে এপ্রিল মাস শেষের দিকে চলে আসলে ও ভি.জি.ডি’র চাল হতদরিদ্র মহিলাদের মধ্যে বিতরণ করা হয়নি। এবং মাসিক সঞ্চয়ের টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে চেয়ারম্যান মুুসা তার পকেটে রেখে দেন। এমনকি মহিলাদের ছবি সম্বলিত কার্ড গুলো চেয়ারম্যান নিজের কাছেই জমা রেখেছেন।
এরই প্রেক্ষিতে কুর্শি ইউনিয়নের সমরগ্রাও গ্রামের মোঃ শরিয়ত আলী নামে এক ব্যাক্তি ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভি.জি.ডি’র চাল ও সঞ্চয়ের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবার লিখিতভাবে অভিযোগ করেন। এবং হবিগঞ্জ- ১ আসনের সংসদ সদস্য শাহনেওয়াজ মিলাদ গাজী ও জেলা প্রশাসক হবিগঞ্জ কে এর অনুলিপি প্রদান করে মোবাইলে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শরিয়ত আলী।
এব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার পাল বলেন অভিযোগ পেয়েছি। চেয়ারম্যান বলেছেন সোমবার চাল বিতরন ও সঞ্চয়ের টাকা জমা করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০০৪ এর শেষে ও ০৫ এর প্রথম দিকে অনরোপ ভাবে থ্্ সময়ে চেয়ারম্যান আলী আহমেদ মুসা ভি.জি.ডি’র চাউল আত্মসাৎ করার কারনে তখনকার ইউএনও জহুরুল ইসলাম রুহেল তার বিরুদ্ধে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নিলে মুসা আত্মসাৎকৃত চাউল ফেরত দিতে বাধ্য হয়। যে কারনে স্থানীয় বাংলা বাজারে উপকারভোগিরা ঝাড়ু মিছিল করে।
এদিকে শরিয়ত আলী আরো জানান, খাদ্য গুদামের দায়িত্বরত কর্মকর্তার সাথে মোবাইলে কথা বললে গুদাম কর্তা তাকে জানিয়েছেন, যে মার্চ মাসের চাল চেয়ারম্যান মুসা উত্তোলন করে নিয়ে গেছেন। এখন কেবল এপ্রিল মাসে বিতরনের চাল খাদ্য গুদামে রয়েছে। স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে তাহলে মার্চ মাসের ১৭৫ জন মহিলার চাল কি হাওয়া হয়ে যাবে ? না কি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য চাল চোরদের রেহাই নাই ঐকথাটি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বাস্তবে প্রতিফলিত হবে !
করোনা মহামারী আসার পর থেকে নবীগঞ্জে ঘটছে একের পর এক লঙ্ককান্ড! এসব ঘটনায় অতিষ্ঠ নবীগঞ্জ উপজেলাবাসী।
এদিকে প্রশাসনের কর্তাব্যাক্তিরা ও উচু পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরা ও রয়েছেন নিরব ভূমিকায়। এ যেন দেখার কেউই নেই। এতে করে চরম হতাশা দেখা দিয়েছে নবীগঞ্জবাসীর মধ্যে।